অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর ২৩টি এলাকা করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা একশ’র বেশি। সংক্রমণের ব্যাপকতা বিবেচনায় নিয়ে এসব এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে তা লকডাউন করে দেবে সরকার।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- উত্তরা, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, ধানমন্ডি, কাকরাইল, মুগদা, মগবাজারের মতো এলাকা।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, আগামীকাল রোববার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার কিছু স্থানে জোনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে লকডাউন শুরু হবে। রেড জোনে সবাইকে ঘরে থাকতে হবে, একান্ত প্রয়োজন না থাকলে কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না। ওই এলাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব জিনিসের দরকার হবে তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। বেশি আক্রান্ত এলাকাকে রেড, অপেক্ষাকৃত কম আক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো ও একেবারে কম আক্রান্ত বা আক্রান্তমুক্ত এলাকাকে গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। রেড জোনকে লকডাউন করা হবে, ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।
স্বাস্থ্য অধিপ্ততরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ঢাকায় ২০ হাজার ৭০৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে মিরপুর এলাকায়। সেখানে ৯৬৯ করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে মহাখালীতে। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪৫৭ জন। আক্রান্তের তালিকায় এর পরে আছে উত্তরা, মুগদা ও মোহাম্মদপুর। এ তিন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩৩, ৪২৮ ও ৩৯৪।
বাকি যেসব এলাকায় সংক্রমিত রোগী বেশি, সেসব এলাকা হলো- যাত্রাবাড়ী (৩৮৭ জন), কাকরাইল (৩০০ জন), ধানমন্ডি (২৯৪ জন), মগবাজার (২৫৫ জন), তেজগাঁও (২৫১ জন), রাজারবাগ (২২১ জন), খিলগাঁও (২১৯ জন), লালবাগ (২০৬ জন), রামপুরা (১৯৭ জন), বাড্ডা (১৯৫ জন), মালিবাগ (১৬৪ জন), গুলশান (১৬৩ জন), বাবুবাজার (১৬২ জন), গেন্ডারিয়া (১৪২ জন), ওয়ারী (১২৪ জন), বাসাবো (১২২ জন), বংশাল (১০৯ জন) এবং আগারগাঁও (১০৮ জন)।
ঢাকার বাইরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর ও কক্সবাজারে। আইইডিসিআরের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, এ পাঁচ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ২৮৭৫, ২৪৬০, ১১৭৩, ১১৫০ ও ৯৬৯। এসব জেলায়ও সংক্রমণের শীর্ষ এলাকা ধরে চিহ্নিত হতে পারে রেড জোন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ শনিবারের (৬ জুন) বুলেটিন অনুসারে, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৩৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৮৪৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই মারা গেছেন ৩৫ জন।
গত ক’দিনে সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে বাংলাদেশ এখন করোনায় সংক্রমিত দেশগুলোর তালিকায় ২০ নম্বরে উঠে গেছে। এর মধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে এলাকাভিত্তিক রেড জোন চিহ্নিত করার বক্তব্য এলো